মসলার যত গুন


বিশেষ বিশেষ রান্নায় কম-বেশি গরম মশলার ব্যবহার আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। মাংসের নানাপদ, পোলাও, বিরিয়ানী, চাটনি ইত্যাদি থেকে আরম্ভ করে পায়েস পর্যন্ত সব রান্নাতেই এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি যেমন স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি এ প্রত্যেকটি জিনিষের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ।

ছোট এলাচ: ছোট এলাচকে গোলমরিচের পরে স্থান দেয়া হয়েছে। এলাচের প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে, হালকা সবুজ খোসায় ঢাকা কালো দানার ফল শুকিয়ে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

দক্ষিণ ভারতের মহিগুণ, ওয়াইনাড, ত্রিবাঙ্কুর, কোচিন প্রভৃতি স্থানে ও শ্রীলঙ্কায় প্রচুর পরিমাণে ছোট এলাচের চাষ করা হয়।

উপাদান: বিশেষণে দেখা গেছে, ছোট এলাচে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ইথার, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ সিনিতাল, তারপিনল তাপিনিন, লিমোনিন, স্যাবিনিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ এমন সব তেল থাকে যা শুধুমাত্র সুগন্ধ বাড়ায় আরোগ্যকারীও।

আরোগ্যকারী গুণ: ছোট এলাচের প্রথম গুণ হজমশক্তি বৃদ্ধি করা। বিশেষত কাঁচা পেঁয়াজ, রসুনসহ অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর অম্বল-গ্যাস-বদহজম হলে লবঙ্গ, আদা, ধনে জোয়ানের সঙ্গে ছোট এলাচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। বদহজমজনিত মাথার যন্ত্রণায় ছোট এলাচ মিশিয়ে ফোটানো চা পান করলে খুব কম সময়ে উপশম হয় এবং অবসাদও কমে যায়।
কলাপাতা ও আমলকির রসের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে এলাচ গুঁড়া দিনে দুইবার খেলে কিডনির বিভিন্ন অসুখ, যেমন নেফ্রাইটিস, প্রস্রাবের জ্বালা, অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মুখের ভেতরের জীবাণু সংক্রমনজনিত ঘা, ফ্যারিনজাইটিস, গলক্ষত, স্বরভঙ্গ, দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ছোট এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যায়। যারা সঙ্গীতচর্চা করেন তাদের ক্ষেত্রে গলা ভাল রাখার এটা মহৌষধ। বারবার হেঁচকি উঠলে ছোট এলাচ ও পুদিনাপাতা একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে খেলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।

এই বিষয়ক আরো

আরো দেখুন